দখিনের খবর ডেস্ক ॥ মেঘনানদীর কড়ালগ্রাসে বিলীন হয়ে যাওয়া বরিশালের হিজলা উপজেলার বাউশিয়া ভাঙন পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার ৯ জুলাই বিকালে হিজলা উপজেলা সংলগ্ন ৮নং বাউশিয়া, ৭ নং ওয়ার্ড বাহেরচর, ৯ নং ওয়ার্ড উত্তর বাউশিয়া, পুরাতন হিজলা বন্দর ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিউন্নয়ন বোর্ড দক্ষিনাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ।
বর্তমান সময়ে উত্তাল মেঘনা নদী বেপরোয়া হয়ে উঠায় ভাঙ্গতে শুরু করছে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গছে হিজলা উপজেলা সদর সংলগ্ন ৮ নং বাউশিয়া গ্রাম। হুমকীর মুখে রয়েছে হিজলা উপজেলা পরিষদ, প্রশাসনিক ভবন। হিজলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেঘনা কড়াল গ্রাসের মুখে সহ উপজেলা প্রশাসনিক ভবন সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার মুখে রয়েছে এসংবাদ স্থানীয় দৈনিক, জাতীয় ও স্থানীয় অনলাইন মিডিয়া, ফেসবুক সহ মেঘনার ভাঙ্গন, হিজলা উপজেলার রক্ষ করা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা নানাভাবে সংবাদ প্রচারিত হলে এগিয়ে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গন কবলিত হুমকীর মুখে থাকা হিজলা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৮নং বাউশিয়া গ্রামের দক্ষিণ বাউশিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম বাউশিয়া, মধ্যে বাউশিয়া সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার পরিদর্শন করেন তাঁরা। এসময় পাণি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে উপস্থিত ছিলেন হিজলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী, বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পন্ডিত শাহাবুদ্দিন আহম্মেদসহ স্থানীয় হাজারো অসহায় নদী ভাঙ্গনী মানুষ। এসময় পানিউন্নয়ন বোর্ড দক্ষিনাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, যথাশিঘ্র হিজলা উপজেলা রক্ষা বাঁধের জন্য থোক বরাদ্দ থেকে জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে। হিজলা উপজেলাকে ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য ৫’শত কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এখন যা হচ্ছে আপদকালীন। পরবর্তীতে তাঁরা পুরাতন হিজলা, উত্তর বাউশিয়া, হরিনাথপুর, আলীগঞ্জ, উলানিয়া ভাঙ্গনকবলীত স্থানও পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন, উপসহকারী প্রকৌশলী জনাব মোঃ সোহেল তালুকদার, কার্যসহকারী মোঃ জহিরুল ইসলাম।
Leave a Reply